ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫ , ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরে অনাবৃষ্টি: বিপাকে রংপুরের চাষিরা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ১১:০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ১১:০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
উত্তরে অনাবৃষ্টি: বিপাকে রংপুরের চাষিরা সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
অনাবৃষ্টিতে মৌসুম পেরিয়ে গেলেও ধান রোপণ করতে পারছেন না রংপুর অঞ্চলের চাষিরা। রোপা আমন বৃষ্টি নির্ভর হলেও এ বছর সেচ দিয়ে ফসল আবাদ করতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে অতিরিক্ত খরচ হবে তাদের। যদিও কৃষি বিভাগের দাবি, ফলন ভালো হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

রোপা আমনের ভরা মৌসুমে খালি পড়ে আছে একরের পর একর জমি। অথচ একমাস আগেই আমন রোপণ শেষ হওয়ার কথা। এর মূল কারণ বর্ষাকালেও মাঠে জমেনি বৃষ্টির পানি। সেচ পাম্প দিয়ে পানি তুলে জমি তৈরি করছেন কৃষকরা।এতে প্রতি হেক্টরে শুধু চারা রোপণে বাড়তি খরচ হচ্ছে ২ হাজার টাকার বেশি। চাষিরা বলেন, পাম্প দিয়ে পানি তুলে জমিতে পানি দিতে হচ্ছে। পানি বার বার দিতে হয়। এতে বাড়ছে খরচ। তবে ফলন ভালো হলে কৃষকের ক্ষতি হবে না, আশা কৃষি বিভাগের। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের  প্রশিক্ষণ অফিসার মো. এনামুল হক বলেন, বৃষ্টির পানি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করলে সেটি ব্যবহার করা যায়। এরপরেও সেচ লাগলে কিছুটা খরচ বাড়ে। তবে ফলন ভালো হলে বাড়তি খরচটা পুষিয়ে নেয়া যায়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, গতবছর জুলাইয়ে ৪৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেও চলতি বছর হয়েছে মাত্র ২০০ মিলিমিটার। রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফসল ফলানোর জন্য যে পরিমাণ বৃষ্টি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে না। ফলে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। যা খরচ বাড়াচ্ছে চাষিদের।উল্লেখ্য, রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় চলতি মৌসুমে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজার ৩৪০ হেক্টর।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ